রবিবার ২০ এপ্রিল ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

বইমেলা | বাণিজ্যে বসতি বাঙালি, উদ্যোগপতিদের সেরা হয়ে ওঠার সাক্ষী থাকল কলকাতা বইমেলা

Kaushik Roy | ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৯ : ২২Kaushik Roy


রিয়া পাত্র

অনেকেই বলেন বাঙালি সাহিত্যচর্চা করে, বাঙালি ভোজনরসিক, বাঙালি সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক, কিন্তু বাঙালি ঠিক ব্যবসাটা বোঝে না। এ কেবল কথার কথা নয়, দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়ে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক চলে আসছে। কিন্তু তর্ক থেকে সরে, পরপর বেশকিছু নাম মনে করলেই স্পষ্ট হয়, বাঙালি কেবল ব্যবসা বোঝে তাই নয়, সেই  ব্যবসাকে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে পরিচিত করেছে অন্যত্রও। আর সেই আলোচনাই পরতে পরে উঠে এল 'বাণিজ্যে বসতি বাঙালি' শীর্ষক আলোচনায়। আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলার সফল উদ্যোগপতিরা, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের কাজের মাধ্যমে পরিচিত হয়েছেন, সমাদৃত হয়েছেন। বহু মানুষ অনুপ্রাণিত হয়েছেন তাঁদের কাজের ধারা, ন্যায়, নিষ্ঠায়।

 

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অন্যতম সফল উদ্যোগপতি, শিক্ষাবিদ, লেখক, টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি এবং টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি ত্রিপুরার চ্যান্সেলর, আজকাল পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড এবং মিলেনিয়াম পোস্টের চেয়ারম্যান সত্যম রায়চৌধুরী, পিসি চন্দ্র জুয়েলার্সের জয়েন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর শুভ্র চন্দ্র, আউধ ১৫৯০, এবং চ্যাপ্টার ২-এর প্রতিষ্ঠাতা, ডিরেক্টর, বিশিষ্ট ওয়াইল্ড ফটোগ্রাফার শিলাদিত্য চৌধুরী, মুখরোচক-এর চতুর্থ প্রজন্মের প্রতীক চন্দ্র। নিজেদের খাতে, এই চারজনই দিনে দিনে দেখিয়ে দিয়েছেন, দিচ্ছেন, বাঙালি কীভাবে ব্যবসার ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। চার বিশিষ্ট শিল্পপতির সঙ্গে কথোপকথনে  ছিলেন ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়। 


একেবারে ঘরোয়া, আড্ডার ছলে আলোচনায় বসেছিলেন পাঁচজন। সহজভাবে, সরল কথাবার্তায় তাঁরা আলোচনা করলেন, দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বুঝিয়ে দিলেন, দুধে ভাতে বাঙালি, মাছেভাতে বাঙালি  থেকে, বাণিজ্যে বসতি বাঙালি, সফল। সত্যম রায় চৌধুরী আলাপচারিতায় শোনালেন দীর্ঘ পথের কাহিনি। ১৯৮৪ থেকে ২০২৫, প্রায় চার দশকের অভিজ্ঞতা, কাজের কথা শোনালেন তিনি। পড়াশোনা শেষ করে, যখন আর পাঁচজন যুবক চাকরি খোঁজেন, তখন তিনি স্বপ্ন বুনেছিলেন ব্যবসার। নিজের কিছু, একান্ত নিজের কিছু করার। বেশিরভাগ বাঙালি পরিবার যেখানে চায়, সন্তান পড়াশোনা শেষে চাকরি খুঁজুক, সত্যম সেসময় ব্যবসার উদ্যোগে পাশে পেয়েছিলেন পরিবারকে।

 

চার দশক জুড়ে দিনে দিনে বিস্তার লাভ করেছে তাঁর স্বপ্ন, ছড়িয়ে গিয়েছে রাজ্য, দেশে। এই লম্বা জার্নি, দীর্ঘ পথে যেমন রয়েছে চড়াই, উতরাইয়ের কথা, তেমনই রয়েছে স্বপ্নপূরণের দিকে এগিয়ে যাওয়া, জয়ের স্বাদ। এই ঝুঁকি, এই ব্যবসার ঝোঁক তিনি ছড়িয়ে দেন অন্যদের মধ্যে। বললেন, ' যারা আমার প্রতিষ্ঠানে পড়ে, আমি চেষ্টা করি তাঁরা যাতে উদ্যোগপতি হয়, ব্যবসায় যুক্ত হয়। হয়তো ১০০জনকে বোঝালে ২জন এই পথে আসে। যদি একজনও উদ্যোগপতি হতে চায়, সেটাও খুশির। ' 


১৯৫০ সালে যাত্রা শুরু হয় মুখরোচকের। কীভাবে একাধিক ব্যবসা চেষ্টা করার পর, আচমকা ছোট দোকানে কাগজের ঠোঙায় চানাচুর বিক্রি থেকে  মুখরোচকের এই পথচলা, কাহিনি শোনালেন প্রতীক। প্রজন্মের ব্যবসাকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি, শোনালেন সেকথা। বউ বাজার স্ট্রিটের ৪০০ স্কোয়ারফিট থেকে শুরু করে, আজকের দিনের পিসি চন্দ্র জুয়েলার্স, কোন মন্ত্রে যুগ যুগ ধরে বজায় রয়েছে ঐতিহ্য, সেকথা বলেন শুভ্র। শিলাদিত্য একসঙ্গে, একাধিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। একদিকে বন্য প্রাণীর ছবি তোলা, একদিকে বড় সংস্থার দায়িত্ব, কীভাবে সবদিক সামলান, গোপন কথা বলেন শিলাদিত্য। চারজনই বলেন, তাঁদের কাজের পন্থা। ইউনিভার্সিটি থেকে হাসপাতাল, রেস্তোরাঁ থেকে গয়নার দোকান, এক নয়, একেবারে ভিন্ন খাতের চার বিশিষ্ট শিল্পপতি বলেন কখন ভাবেন তাঁরা নতুন ভাবনা, কীভাবে ভাবেন, আর কীভাবেই বা কার্যকর করেন।


Book FairবইমেলাKolkata Book Fair

নানান খবর

নানান খবর

সোশ্যাল মিডিয়া